নিজস্ব প্রতিনিধি ১০ই মে, ২০১৮
অমৃত লাল বসু পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের নাট্যজগতে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নাম। তিনি ভারতের আধুনিক নাট্যচর্চায় একজন পথিকৃৎ। তিনি শুধু নাট্যকারই ছিলেন না নিজেও অত্যন্ত শক্তিশালী অভিনেতাও ছিলেন। কৌতুকনাট্য ও শ্লেষাত্মক রচনার জন্য অমৃত লাল বসু বিখ্যাত।
অমৃত লাল বসু অবিভক্ত বাংলার কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৮৫৩ খ্রীষ্টাব্দে। তিনি জেনারেল অ্যাসেম্ব্লি (অধুনা স্কটিশ চার্চ কলেজ) থেকে পড়াশোনা করেছিলেন। পরে তিনি কলকাতা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা শিক্ষা করার জন্য ভর্তি হন। কিন্তু, দুই বছর পরে তিনি এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ত্যাগ করেন। এবং নাট্যচর্চায় সম্পূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করেন।
ব্রিটিশ অধিকৃত ভারতে বাংলা তথা যেকোনও ভারতীয় ভাষায় নাট্যচর্চার জন্য যে কয়েকটি নাম স্মরণীয় তাঁদের মধ্যে অমৃত লাল বসু অগ্রণী। তাঁর লেখা নাটকগুলির মধ্যে ‘ব্যাপিকা বিদায়’ (১৯২৬), ‘তিলতর্পণ’ (১৮৮১), ‘বিবাহ বিভ্রাট’ (১৮৮৪), ‘তরু-বালা’ (১৮৯১), ‘কালাপানি’ (১৮৯২), ‘বিমাতা’ (১৮৯৩), ‘আদর্শ বন্ধু’ (১৯০০), ‘অবতার’ (১৯০২), ‘বাবু’ (১৮৯৩), ‘চোরের উপর বাটপারি’ ইত্যাদি।
১৯২৯ খ্রীষ্টাব্দে অমৃত লাল বসু ইহধাম ত্যাগ করেন।
তার রচিত গ্রন্থের সংখ্যা চল্লিশ এবং তার মধ্যে নাটক চৌত্রিশ।
এই নিবন্ধটি পড়ার জন্যে ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে এই পেজ এবং ওয়েবসাইট সম্পর্কে আপনার বন্ধুদেরকে জানান। নিজের ফেসবুক বা টুইটারে শেয়ার করুন।ধন্যবাদ।