নিজস্ব প্রতিনিধি ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯
পাহাড়ী সান্যাল
পাহাড়ী সান্যাল ছিলেন একজন স্বনামধন্য বাঙ্গালী চলচ্চিত্র অভিনেতা।তিনিও তাঁর সমসাময়িক অভিনেতা ছবি বিশ্বাস, কমল মিত্রের মত নিজগুনে হয়ে উঠেছিলেন এক অনন্য ব্যক্তিত্ব।
ছোটোবেলা
পাহাড়ী সান্যালের প্রকৃত নাম নগেন্দ্র নাথ সান্যাল। তিনি ২২শে ফেব্রুয়ারী ১৯০৬ সালে দার্জিলিং এ জন্মগ্রহন করেছিলেন। ছোটোবেলার প্রথম দিকে এবং যৌবনের বেশ খানিকটা সময় তিনি লখনউ শহরে কাটিয়েছিলেন। তাঁর পিতা ছিলেন একজন সঙ্গিতের অনুরাগী এবং সেনা বিভাগের হিসাব পরীক্ষক। তবে মাত্র দেড় বছর বয়সে তিনি মাতৃহারা হন। দশ বছর বয়সে তাঁর পিতৃবিয়োগ ঘটে। এরপর তাঁর জেষ্ঠ্যভ্রাতা তাকে স্বস্নেহে মানুষ করেন।
পারিবারিক জীবন
পাহাড়ী সান্যাল একুশ বছর বয়সে মোরাদাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভাইস প্রিন্সিপালের সঙ্গে পরিণয়সুত্রে আবদ্ধ হন। ১৯৩১ এ তারঁ প্রথম পুত্র জন্মগ্রহন করে, কিন্তু ৩-৪ দিন পর সেই পুত্র মারা যান এবং কিছুদিন পর তাঁর স্ত্রী-ও পরলোকগমন করেন। তারপর কিছু বছর পর তিনি নিউ থিয়েটার্সে অভিনয়কালে মীনা দেবীকে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন।
চলচ্চিত্র জীবন
১৯৩৩সালে তিনি কলকাতায় আসেন এবং নিউ থিয়েটার্সে যোগ দেন। তার প্রথম আত্মপ্রকাশ মীরাবাঈ সিনেমায়। বাংলা হিন্দি মিশিয়ে পায় দেড়শো সিনেমায় তিনি অভিনয় করেন। বিশেষত বড়দিদি ছবিতে সুরেন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য ছবিতে নিত্যানন্দ এবং বিদ্যাপতি ছবিতে বিদ্যাসাগর, মহাকবি গিরীশ্চন্দ্র ও কেদার রাজা ছবিতে নামভূমিকায় অসধারন অভিনয় করেন। শেষ বয়সে ১৯৭৩ সনে বিশ্বরূপা রঙ্গমঞ্চে আসামী হাজিরনাটকে অপূর্ব অভিনয় করে মঞ্চানুরাগীদের মন জয় করেন। বাংলা অ হিন্দি মিলিয়ে চার দশক ধরে মোট ১৫০টি ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন।
মৃত্যু
পাহাড়ী সান্যাল ১০ই ফেব্রুয়ারী ১৯৭৪ সালে পরলোকগমন করেন। সে সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
এই নিবন্ধটি পড়ার জন্যে ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে এই পেজ এবং ওয়েবসাইট সম্পর্কে আপনার বন্ধুদেরকে জানান। নিজের ফেসবুক বা টুইটারে শেয়ার করুন।ধন্যবাদ।