নিজস্ব প্রতিনিধি ২৪ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯
অংকুশ হাজরা
বাংলা তথা ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম নক্ষত্র হলেন অংকুশ হাজরা। বর্তমানে টলিউডের প্রথম সারির নায়কদের মধ্যে তাঁর নাম অনায়াসেই উচ্চারন করা যেতেই পারে। পাশাপাশি তাঁর ভক্তদের সংখ্যাও খুব একটা কম নয়।
জন্ম ও পরিবার
অঙ্কুশ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার বাদামতলায় ১৪ই ফেব্রুয়ারী ১৯৮৯ সালে জন্মগ্রহন করেন। তিনি হলি রক স্কুল এবং ইস্ট ওয়েস্ট মডেল স্কুল থেকে পড়াশোনা করেন। উচ্চ শিক্ষার সুযোগ থাকলেও তিনি একজন অভিনেতা হতে চেয়েছিলেন। তাই তিনি কলকাতায় চলে আসেন। কলকাতায় এসে তিনি এখানেই বসবাস করতে থাকেন এবং অভিনয় জগতে প্রতিষ্ঠিত হবার জন্য প্রচুর পরিশ্রম করতে থাকেন। তিনি বিখ্যাত কোরিওগ্রাফার বাবা যাদবের কাছে নাচ শিখেছেন। বর্তমানে অঙ্কুশ অভিনয়ের পাশাপাশি কলকাতায় অবস্থিত দ্য হেরিটেজ অ্যাকাডেমী তে বিবিএ পড়ছেন। সম্প্রতি তিনি টেলি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেনকে বিবাহ করেন।
অভিনয় জীবন
অঙ্কুশ রোম্যান্টিক কমেডি ছবি ‘কেল্লাফতে’ তে প্রথম অভিনয় করেন।নবাগতা অভিনেত্রী রুপশ্রীর বিপরীতে তিনি অভিনয় করেছিলেন এবং তাঁর সাবলীল অভিনয় অনেকেরই মন ছুঁয়ে যায়। আর প্রথম দর্শনেই ছবিটি বেশ সাফল্য লাভ করে। যার ফলে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি এক নতুন নায়ক কে পায়। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি যে একজন ভাল নর্তক সেটাও সকলের নজরে আসে। এরপর ২০১২ সালের অন্যতম বিখ্যাত প্রযোজনা সংস্থা এস কে মুভিজের ব্যানারে ও রাজীব বিশ্বাসের পরিচালনায় এবং শ্রাবন্তীর বিপরীতে মুক্তি পায় ‘ইডিয়ট’ ছবিটি। তবে এই সিনেমাটি খুব হিট না হলেও এর কয়েকটি গান খুবই জনপ্রিয় হয়। ২০১৩ সালে তিনি আবার অভিনেত্রী শ্রাবন্তীর বিপরীতে ‘কানামাছি’ সিনেমায় অভিনয় করেন। এই সিনেমাটিও এস কে মুভিজের ব্যানারেমুক্তি পায় এবং এটি পরিচালনা করেন রাজ চক্রবর্তী। ওই বছরেই ১১ই অক্টোবর মুক্তি পায় তাঁর আরো একটি সিনেমা ‘খিলাড়ি’ তাঁর বিপরীতে ছিলেন অভিনেত্রী নুসরাত জাহান এবং ছবিটি পরিচালনা করেছেন অশোক পাতি।
অভিনীত চলচ্চিত্র সমূহ
২০১০ সালে কেল্লাফতে
২০১২ সালে ইডিয়ট
২০১৩ সালে কানামাছি, খিলাড়ি
২০১৪ সালে আমি শুধু চেয়েছি তোমায়
২০১৫ সালে রোমিও বনাম জুলিয়েট, জামাই ৪২০, আশিকী
২০১৬ সালে কি করে তোকে বলবো, কেলোর কীর্তি, জুলফিকার, হরিপদ ব্যান্ড ওয়ালা
২০১৭ সালে আমি যে কে তোমার, বলো দুর্গা মাই কি,
২০১৮ সালে ভিলেন
পুরষ্কার ও মনোনয়ন
২০১১ সালে বিগ বাংলায় নবাগত তারকা পুরষ্কারে অঙ্কুশ পুরুষ বিভাগে সেরা নর্তক এর জন্য মনোনীত ও বিজয়ী হন। এরপর ২০১৫ সালে কলাকার পুরষ্কার এর অনুষ্ঠানে পুরুষ বিভাগে সেরা তারকার জন্য মনোনীত হন ও বিজয়ী হন।
এই নিবন্ধটি পড়ার জন্যে ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে এই পেজ এবং ওয়েবসাইট সম্পর্কে আপনার বন্ধুদেরকে জানান। নিজের ফেসবুক বা টুইটারে শেয়ার করুন।ধন্যবাদ।